6 মাস আগে

পাচারের টাকা উদ্ধারে সরকার চাইলে আইনজীবী নিয়োগ: গভর্নর

চারের টাকা উদ্ধারে দেশ-বিদেশে মামলা করবে বাংলাদেশ, কী ধরনের মামলা করবে তার সিদ্ধান্ত নিবে আইনজীবীরা। সরকার চাইলে এখনই আইনজীবী নিয়োগ করতে পারে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাচারের টাকা উদ্ধার ধাপে ধাপে এগোতে হবে। চূড়ান্ত রায় না পেলে সম্পদ উদ্ধার করা যাবে না। তাই যথাযথ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে কোর্টে দেওয়ার জন্য তৈরি করতে হবে। বিচারক প্রক্রিয়ায় এসব সম্পদ যাতে আদায় করতে পারি। কোর্ট সিদ্ধান্ত নিবে আমরা যেটা দাবি করছি, তা সঠিক কী-না। আরেকটি পদ্ধতি আদায় করা যায়, তা হলো এডিআর (সমঝোতা) পদ্ধতি। সেখানেও একটা প্রক্রিয়া আছে, তাতে আইনজীবীরা আলোচনা করবে।

6 মাস আগে

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন : রাজনৈতিক অস্থিরতায় বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৩.৩ শতাংশ

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, গত দুই দশকে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সূচকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যাবে বাংলাদেশ। এখানে বিনিয়োগও এখন এক দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন। সংস্থাটির সর্বশেষ পূর্বাভাস হচ্ছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে আসতে পারে। তবে আগামী দুই অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। এর মধ্যে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হবে। মঙ্গলবার (১০ জুন) বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্ট’ বা ‘বিশ্ব অর্থনৈতিক সম্ভাবনা’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা ও কাঁচামাল তথা মূলধনি পণ্যের আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াকে এদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর ফলে বেসরকারি বিনিয়োগে বাধা তৈরি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বাংলাদেশে এর আগে সর্বশেষ ২০১৯–২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৩ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তখন জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হয়েছিল ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মূল কারণ ছিল কোভিড–১৯ মহামারির প্রকোপ। সেই অস্বাভাবিক অর্থবছরটি বাদ দিলে কম প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ২০০১–০২ অর্থবছর, ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, মূলধনি পণ্যের আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বাংলাদেশের শিল্পোৎপাদনে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। মূল্যস্ফীতি এখনো ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। কয়েক দফা সুদের হার বাড়ানো হলেও মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রার নিচে নেমে আসেনি। বহুজাতিক সংস্থাটির মতে, বিশ্বজুড়ে নীতিগত অনিশ্চয়তা বাড়লেও বাংলাদেশে বিনিয়োগের প্রবাহ আবারও জোরালো হতে পারে। তবে এ জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা ও ব্যবসাবান্ধব সংস্কার কার্যক্রম সঠিকভাবে বাস্তবায়নকে অন্যতম শর্ত হিসেবে দেখছে বিশ্বব্যাংক।

6 মাস আগে

পাচারকৃত অর্থ ফেরাতে বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত যুক্তরাজ্যের

ব্রিটিশ বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বোর্ড অব ট্রেডের সভাপতি জনাথন রেনল্ডস আজ বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তারা বন্ধুত্বপূর্ণ দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিনিয়োগের সুযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছাড়াও বাণিজ্য বৃদ্ধির কৌশল এবং বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। রেনল্ডস বালাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে পাচার হওয়া অবৈধ অর্থ পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। অধ্যাপক ইউনূস অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরেন, বিশেষ করে ব্যাংক খাত সংস্কার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার বিষয়গুলো।

6 মাস আগে

প্রবাসী আয়ে সেরা সৌদি, পরের স্থানে আমিরাত-যুক্তরাজ্য

গত এপ্রিলের মতো বিদায়ী মে মাসেও বাংলাদেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষে ওঠে এসেছে সৌদি আরব। যদিও এর আগের তিন মাসে (জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ) প্রবাসী আয় পাঠানোয় শীর্ষ অবস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। বিদায়ী মে মাসে সৌদি আরবের পরে দ্বিতীয় স্থানে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এরপরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য (ইউকে)। প্রবাসী আয় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৯৬ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। মাসের হিসেবে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো গেল মাসে। যেখানে গত এপ্রিলে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ২৭৫ কোটি ১৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার। পবিত্র রমজান বা গত মার্চ মাসে প্রবাসী আয়ের পালে হাওয়া লেগেছিল। মার্চে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসের হিসাবে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল মার্চে। বিদায়ী মে মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে সৌদি আরব থেকে। এরপর শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে— সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য (ইউকে), মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ওমান, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর।

6 মাস আগে

যেসব ব্যাংকে আজ থেকে পাওয়া যাবে নতুন টাকা

তুন টাকার চাহিদা ঈদ এলেই বাড়ে । সে হিসেবে আসন্ন কুরবানির ঈদ সামনে রেখেও নতুন টাকা বাজারে ছেড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা সোমবার থেকে মিলবে বাংলাদেশে ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরেও ১০টি ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের স্বাক্ষরযুক্ত নতুন সিরিজের ১ হাজার, ৫০ ও ২০ টাকার ব্যাংক নোট পাওয়া যাবে আজ (সোমবার) থেকে। যা ১১টি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন গ্রাহকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরে যেসব ব্যাংকে নতুন টাকা মিলবে সেই ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, পূবালী, উত্তরা, ডাচ্-বাংলা, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল-আরাফাহ ইসলামী ও ব্র্যাক ব্যাংক। এসব ব্যাংকের লোকাল অফিসকে নতুন টাকা দেওয়া হয়েছে। যা সোমবার থেকে বিতরণ শুরু করবে ব্যাংকগুলো। তবে কোন ব্যাংক কোন শাখার মাধ্যমে নতুন টাকা বিতরণ করবে, তা নিজেরাই ঠিক করবে ব্যাংকগুলো।

6 মাস আগে

৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা আজ

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ সোমবার জাতির সামনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উপস্থাপন করবেন। তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে যে পূর্ব-রেকর্ডকৃত বাজেট ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) এবং বাংলাদেশ বেতারের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত বিকেল ৪টার পরিবর্তে বিকেল ৩টায় সম্প্রচারিত হবে। এছাড়াও, জাতীয় বাজেটের ব্যাপক প্রচার নিশ্চিত করার জন্য সব বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলোকে বিটিভি থেকে ফিড গ্রহণ করে বাজেট ভাষণটি একই সময়ে সম্প্রচার করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার প্রথমবারের মতো বাজেট পেশ করতে যাচ্ছে। সূত্র অনুযায়ী, উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রকৃত আয় কমার উদ্বেগ থাকা সত্ত্বেও মূল করনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। ব্যক্তিগত করদাতাদের জন্য বার্ষিক আয়করমুক্ত থাকার সীমা গত বছরের মতো তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে এ সীমা বাড়ানোর দাবি থাকলেও তা বিবেচনা করা হয়নি। তবে, ব্যবসায় কর কিছুটা বাড়বে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়; এমন কোম্পানিগুলোর করহার ২.৫ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে ২৭.৫ শতাংশ করা হতে পারে। বার্ষিক ৩০ লাখ টাকার বেশি লেনদেন থাকা কোম্পানিগুলোর ন্যূনতম ট্যাক্স (কর) ০.৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে এক শতাংশ করা হতে পারে।

শিরোনাম
ভোটার তালিকা আইন সংশোধনী প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে উড্ডয়নের পরপরই ইঞ্জিনে ত্রুটি, ১৫৪ যাত্রী নিয়ে ফিরল বিমান চাঁদপুরে সরকারি বই বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরলো স্থানীয়রা ‘গাজা এখন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত এলাকা’ পরিকল্পনা থাকলেও খামেনিকে হত্যার সুযোগ পায়নি ইসরাইল