সৌদি আরব সফররত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সফর ঘিরে একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরের খবর মিলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত একটি চুক্তি হচ্ছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ বিক্রয়চুক্তি।
এই বৃহৎ সামরিক চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে রাডার সিস্টেম, পরিবহন বিমানসহ আধুনিক সামরিক সরঞ্জাম কিনবে বলে জানা গেছে। এটি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতার এক নতুন অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য যে, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হিসেবে কাজ করছে। তবে জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ২০২১ সালে দুই দেশের সম্পর্কে কিছুটা শীতলতা দেখা দেয়। বিশেষ করে ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি আরবের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাইডেন প্রশাসন সে সময় দেশটিকে অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
এ ছাড়া ২০১৮ সালে তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে সাংবাদিক জামাল খাসোগজিকে হত্যার ঘটনায় দুই দেশের সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তদন্তে দাবি করা হয়, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মেদ বিন সালমান এ হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন। যদিও সৌদি আরব বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে।
নতুন করে ট্রাম্পের সফর এবং সামরিক সহযোগিতার এই চুক্তি সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
সূত্র: বিবিসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই