 
                
                
                
            
            দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন,
 "তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। অবশ্যই আসবেন। তিনি খুব শিগগিরই ফিরছেন।"
তবে সাংবাদিকদের একাধিক প্রশ্নের পরও তারেক রহমানের নির্দিষ্ট ফেরার তারিখ উল্লেখ করেননি বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির কথা জানান ফখরুল। তিনি বলেন,
 "আগামী শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসবেন তারেক রহমান।"
তিনি ইঙ্গিত দেন, চলমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে এই বৈঠক একটি “বড় মোড়” সৃষ্টি করতে পারে। তার ভাষায়,
 "নির্ধারিত পরিকল্পনামাফিক সব কিছু হলে এই বৈঠক অনেক জটিলতার সমাধান ও নতুন মাত্রার সূচনা করতে পারে।"
২০০৮ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশত্যাগের পর থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন তারেক রহমান। সেই সময় থেকেই তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছিল এবং আদালতের রায়ে ‘পলাতক’ ঘোষিত হন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগে একাধিক মামলার রায় ঘোষণা করা হয়, এবং তার বক্তব্য প্রচারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
তবে গত বছরের জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে গণ-আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক সমীকরণে আমূল পরিবর্তন আসে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পরিচালিত বিচার প্রক্রিয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান পূর্ববর্তী সব মামলায় খালাস পান।
চলতি বছরের শুরুতে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া এবং বর্তমানে ছেলের বাসায় অবস্থান করছেন। এ ছাড়া, দীর্ঘ ১৭ বছর পর গত মে মাসে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ঢাকায় ফিরে আসেন, যা অনেকের মতে 'ফেরার সিগন্যাল' হিসেবেই বিবেচিত।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতির কথাও জানান ফখরুল।
 "আলহামদুলিল্লাহ, তিনি আগের চেয়ে শারীরিকভাবে অনেকটা ভালো। চিকিৎসকদের কথায় সেটিই বোঝা যাচ্ছে। তিনি এখন অনেক ভালো আছেন," — বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের ঘোষণা বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশলে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হতে পারে। একদিকে এটি মাঠ পর্যায়ে দলীয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করবে, অন্যদিকে অন্তর্বর্তী সরকার ও নির্বাচন-সংক্রান্ত আলোচনায় একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে। লন্ডনে আসন্ন বৈঠক তাই শুধু দলের ভবিষ্যৎ নয়, দেশের রাজনীতির গতিপথও নির্ধারণে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
 
                        যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
 
                        যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
 
                        সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
 
                        কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ