 
                
                
                
            
            বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিত্ব ও অবদান নিয়ে বহু বিতর্ক ও ব্যাখ্যা বিদ্যমান। তবে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েমের সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্ট এক নতুন দৃষ্টিকোণ উন্মোচন করেছে, যেখানে জিয়াকে ‘প্রো-মুসলিম’ ও ‘প্রো-বাংলাদেশি’ মহানায়ক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
সাদিক কায়েমের মতে, স্বাধীনতা-পরবর্তী দুঃসময়ে জিয়াউর রহমান জাতিকে স্থিতিশীলতার পথে ফিরিয়ে আনেন। বাস্তবতা হলো, ১৯৭৫-১৯৭৭ সময়কাল ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের এক অরাজনৈতিক, সামরিক-শাসন-নির্ভর, এবং আদর্শহীনতার সময়। এ সময় জিয়া "জাতীয়তাবাদ", "উৎপাদনশীলতা", "আত্মনির্ভরতা" এবং "আল্লাহর প্রতি আস্থা"-র মতো মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্র পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন। ছাত্রশিবির তার এই দৃষ্টিভঙ্গিকেই মূল্যায়ন করছে মুসলিম জাতিসত্তাভিত্তিক একটি আদর্শ রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে।
পোস্টে সাদিক কায়েম বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন সংবিধানে ‘আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ ফিরিয়ে আনার বিষয়টি, যা ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর দৃষ্টিতে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন। এই পদক্ষেপ বাংলাদেশের রাষ্ট্রচরিত্রে ধর্মীয় উপাদানের অন্তর্ভুক্তিকে সুদৃঢ় করেছিল। শিবিরের দৃষ্টিতে, এটি ছিল “মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয়”কে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া।
সাদিক কায়েম জিয়ার পার্বত্য চট্টগ্রাম নীতিকেও ‘দূরদর্শী ও সময়োচিত’ বলে অভিহিত করেছেন। উল্লেখযোগ্য যে, জিয়া সরকার পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলায় শক্ত অবস্থান নেয় এবং বাঙালি পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করে। শিবির এই দৃষ্টিভঙ্গিকে “এক ও অখণ্ড বাংলাদেশ” রক্ষার প্রচেষ্টা হিসেবে মূল্যায়ন করছে।
সাদিক কায়েম জিয়ার মৃত্যুকে ‘শাহাদাৎ’ বলে অভিহিত করেছেন—এটি একটি স্পষ্ট ধর্মীয় এবং আদর্শিক অবস্থান, যা তাকে কেবল রাজনৈতিক শহীদ নয়, বরং মুসলিম উম্মাহর একজন আত্মত্যাগী নেতা হিসেবে চিহ্নিত করে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, জিয়ার মৃত্যুর পর বাংলাদেশ “দশকের ভয়াবহ স্বৈরাচারে” নিমজ্জিত হয়, যা সম্ভবত এরশাদ শাসনের ইঙ্গিত দেয়।
এই বার্তাটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন বাড়ছে। ইসলামী ছাত্রশিবির, যারা আদর্শিকভাবে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন হিসেবে পরিচিত, তারা জিয়াকে স্মরণ করে তাদের রাজনৈতিক আদর্শের সাথেও একটি সেতুবন্ধন তৈরি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে তারা জাতীয়তাবাদ, ইসলাম, এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে চাইছে।
সাদিক কায়েমের এই পোস্ট কেবল একটি শহীদ রাষ্ট্রনায়ককে স্মরণ নয়; এটি ইসলামী রাজনীতির নতুন প্রজন্মের মধ্যে জিয়াউর রহমানকে একটি 'আদর্শিক মডেল' হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা। শিবিরের এই ধারা ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, ভবিষ্যতের রাজনৈতিক মেরুকরণে তারা জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী ইসলামপন্থাকে এক ধরণের আদর্শ কাঠামো হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী।
 
                        যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
 
                        যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
 
                        সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
 
                        কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ