 
                
                
                
            
            ১১ জুন — বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম-এর নিজ জন্মস্থানে আগমনকে কেন্দ্র করে রংপুরের বদরগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক মতবিনিময় সভা। বুধবার সকালে বদরগঞ্জ উপজেলা কার্যালয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করে উপজেলা জামায়াত।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা মো. কামারুজ্জামান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জামায়াতের মিডিয়া বিভাগের প্রচার সেক্রেটারি আহসান হাবিব। বক্তব্য রাখেন উপজেলা নায়েবে আমীর শাহ মুহাম্মদ রুস্তম আলী, এবং জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি সোয়াইবুর রহমান।
সভায় বক্তারা দাবি করেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে যুদ্ধাপরাধের সাজা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। উপজেলা আমীর মাওলানা কামারুজ্জামান বলেন, "স্বৈরাচারী, ফ্যাসিস্ট সরকার বিচার ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক হুমকি হিসেবে ব্যবহার করে এটিএম আজহারুল ইসলামকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসিতে ঝোলানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু ৩৬ জুলাইয়ের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে।"
তিনি আরও দাবি করেন, সেই কথিত ট্রাইব্যুনালের রায়কে বর্তমান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে এটিএম আজহারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে, যা তার নির্দোষিতার প্রমাণ।
এটিএম আজহারুল ইসলামের বদরগঞ্জে আগমন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান জামায়াত নেতারা। কর্মসূচির সূচি অনুযায়ী:
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় তিনি সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
সেখান থেকে তারাগঞ্জ উপজেলার একটি হাইস্কুল মাঠে পথসভায় যোগ দেবেন।
পরে বদরগঞ্জ উপজেলার সাহাপুর মাঠে অনুষ্ঠিত গণসংবর্ধনায় অংশ নেবেন।
রাতে নিজ গ্রামে পারিবারিক কবরস্থান জিয়ারত শেষে নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন।
পরদিন শুক্রবার সকালে রংপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে গিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন।
সভায় বক্তারা এটিএম আজহারুল ইসলামকে "জাতির এক গর্বিত সন্তান", "অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতীক" ও "আন্দোলন-সংগ্রামের অবিচল নেতা" হিসেবে আখ্যা দেন।
২০১৪ সালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তবে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের ধারায় এবং আদালতের পুনর্বিবেচনায় মামলার রায় বাতিল হয়ে তিনি মুক্তি পান, যা সরকারবিরোধী শক্তির মধ্যে নতুন রাজনৈতিক বার্তা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই আয়োজন বদরগঞ্জ ও আশপাশের এলাকায় এক ধরনের রাজনৈতিক উৎসবের আবহ তৈরি করেছে, যেখানে জামায়াতের স্থানীয় নেতারা এটিকে ‘সত্য ও ন্যায়ের বিজয়’ হিসেবে তুলে ধরছেন।
 
                        যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে ছাড় দিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু আমাদের সঙ্গে ঘাটতি খুবই ছোট- বাণিজ্য উপদেষ্টা
 
                        যারা সংস্কার পিছিয়ে দিতে চায় তারাই নির্বাচন পেছাতে চায়: হাসনাত
 
                        সানেম'র জরিপ রিপোর্ট অনুযায়ী বিএনপি ৩৯, জামায়াত ২২, এনসিপি ১৬ ভাগ ভোট পাবে
 
                        কুমিল্লা অঞ্চলের ১৬ আসনে খেলাফত মজলিসের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ