 
                
                
                
            
            বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের কাছে এমনভাবে আত্মনিবেদন করেছিলেন যে, তা থেকে তিনি আর সরে আসেননি। এর পরিণতি এখন স্পষ্ট—রামপাল প্রকল্পের বর্জ্য নদীতে পড়ছে, ফলে দেশের নদীগুলোর পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সামগ্রিকভাবে বাংলাদেশ এক ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আয়োজনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ফারাক্কা লংমার্চ স্মরণে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে যেকোনো ধরনের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অতীতে মওলানা ভাসানী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহসিকতার সঙ্গে অবস্থান নিয়েছেন। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় এখনো বাংলাদেশকে জাতীয় স্বার্থে স্পষ্ট অবস্থান নিতে হবে।
রিজভী আরও বলেন, বর্তমানে এমন একটি প্রচলন গড়ে তোলা হয়েছে—ভারতের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে পশ্চাৎপদ, অপ্রগতিশীল কিংবা অনাধুনিক হিসেবে চিহ্নিত করার প্রবণতা চালানো হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে এই মানসিকতা দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী এবং বিভিন্ন মহলে ছড়িয়ে পড়েছে। অথচ একসময় বামপন্থীরা ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় কথা বলতেন, এখন তারা অনেকটাই নীরব।
ফারাক্কা বাঁধ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, একসময় শেখ মুজিবুর রহমানকে জানানো হয়েছিল যে ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হবে, এবং তিনি তা অনুমোদন করেছিলেন। কিন্তু সেই অনুমোদনই ছিল বিপদের সূচনা। পরে ভারত আর বাংলাদেশের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার প্রয়োজনও মনে করেনি।
গোলটেবিল বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন। বক্তারা ভারতের নদী আগ্রাসন, বিদ্যুৎ প্রকল্প ও সীমান্ত ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের নীরবতার সমালোচনা করেন এবং জাতীয় স্বার্থে একটি জোরালো ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সূত্র:নয়াদিগন্ত