পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর পার্লামেন্টারি নেতা ও সিনেট স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যান, সিনেটর ইরফান সিদ্দিকি মন্তব্য করেছেন যে, ভারত বর্তমানে ইসরায়েলের মতো পথ অনুসরণ করছে। তিনি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, যে তিনি অবৈধভাবে ভারতীয় দখলকৃত জম্মু ও কাশ্মীরকে নতুন ফিলিস্তিন এবং গাজার মতো তৈরি করার চেষ্টা করছেন।
সিনেটর সিদ্দিকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে ভারতকে গণতান্ত্রিক সনদ হারানোর জন্য দায়ী করেছেন। তিনি দাবি করেন, ভারত এখন মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য সবচেয়ে বড় হত্যাযজ্ঞের মাঠে পরিণত হয়েছে।
পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, যে কোনো আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের জন্য পাকিস্তান ‘টিট-ফর-ট্যাট’ (যতটা আঘাত, ততটাই প্রতিক্রিয়া) প্রতিক্রিয়া জানাবে।
সিনেটর সিদ্দিকি আরও বলেন, "যদি ভারত পাকিস্তানের নদীগুলোর প্রবাহে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ বা বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করে, তবে এটি যুদ্ধের সমতুল্য হবে এবং পাকিস্তান তার পূর্ণ শক্তি দিয়ে এর জবাব দেবে।"
এদিকে, কাশ্মীরের পেহেলগাম এলাকায় গোলাগুলিতে ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। ভারতীয় হিন্দুত্ববাদী সরকার তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দায়ী করে ৬৫ বছরের পুরনো সিন্ধু পানিবন্টন চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দেয়, যা পাকিস্তান প্রত্যাখ্যান করেছে। পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) জানিয়েছে, "পানি পাকিস্তানের প্রাণরসায়ন এবং এটিকে অবরুদ্ধ বা সরানো হলে তা যুদ্ধ ঘোষণার শামিল হবে।"
হামলার ঘটনার পর, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) তাদের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করেছে। টিআরএফ জানিয়েছে, হামলাটিকে তাদের সাথে যুক্ত করার প্রচেষ্টা "অসৎ প্রচারণা" এবং এটি কাশ্মীরি প্রতিরোধ আন্দোলনকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়েছে। তারা দাবি করেছে, হামলার দায় স্বীকারের যে পোস্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তা সাইবার আক্রমণের ফলে হয়েছে এবং এটি ভারতীয় সাইবার গোয়েন্দাদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।
সংগৃহিত প্রতিবেদন