টানা কয়েকদিনের তীব্র সংঘাত ও পাল্টা হামলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও পাকিস্তান। সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করার আগেই যুক্তরাষ্ট্রের সক্রিয় মধ্যস্থতায় শান্তির পথে এগিয়ে আসে দেশ দুটি।
মূলত ভারতের একতরফা হামলার জবাবে পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায়। পাকিস্তানের জবাবের মাত্রা দেখে ভারত হতচকিত হয়ে পড়ে এবং আলোচনায় আন্তরিকভাবে অংশ নিতে শুরু করে। শনিবার (১০ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।
সিএনএন জানায়, এই যুদ্ধবিরতির পেছনে যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বড় ভূমিকা পালন করেছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তান সরকারের একটি গোপন সূত্র। সূত্রটি বলেছে, যখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তখনই শান্তিচুক্তির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়।
শুক্রবার উভয় দেশ আলোচনায় অগ্রসর হলেও শনিবার ভোরে ভারত তিনটি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইসলামাবাদ হতবাক হয়ে পড়ে এবং পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভারতের কাশ্মির সীমান্ত ও সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের হামলা চালায় পাকিস্তান। পাকিস্তান সেনাবাহিনী এটিকে “চোখের বদলে চোখ” নীতির অংশ বলে বর্ণনা করে।
এই পাল্টা হামলার মাত্রায় ভারত গভীরভাবে বিচলিত হয়ে পড়ে এবং যুদ্ধ থামাতে আরও আন্তরিক হয়। আলোচনা চলাকালেও দুই পক্ষের মধ্যে কিছু হামলা চালানো হয়, তবে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ ও কূটনৈতিক আশ্বাসে আলোচনা থেমে যায়নি।
সূত্র জানায়, মার্কো রুবিও ছাড়াও সৌদি আরব ও তুরস্কের কর্মকর্তারা মধ্যস্থতায় যুক্ত ছিলেন। শনিবার বিকালের পর উভয় দেশ আর নতুন কোনও হামলা চালায়নি এবং কিছু সময় পরেই যুদ্ধবিরতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।
তবে ভারতের কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা খাটো করে দেখছেন। তাদের দাবি, এই চুক্তি সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই হয়েছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই