 
                
                
                
            
            গাজায় জরুরি ভিত্তিতে মানবিক সাহায্য না পৌঁছালে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তাপ্রধান টম ফ্লেচার। সোমবার (১৯ মে) বিবিসির টুডে প্রোগ্রামে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।
তিনি বলেন, “আমি আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যতটা সম্ভব এই ১৪ হাজার শিশুকে বাঁচাতে চাই।”
যদিও সোমবার ইসরায়েল ১১ সপ্তাহ পর গাজায় ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়, তবে সেখানে মাত্র পাঁচটি ট্রাক প্রবেশ করেছে। এসব ট্রাক এখনো সীমান্তের কাছাকাছি অবস্থান করছে এবং তাতে থাকা শিশুদের জন্য খাবারসহ অন্যান্য জরুরি সরঞ্জাম এখনো গাজাবাসীর হাতে পৌঁছায়নি বলে জানান ফ্লেচার।
তার ভাষায়, “এই পাঁচটি ট্রাক সমুদ্রের এক ফোঁটা জলের মতো। আমরা আজ ১০০টি ট্রাক পাঠানোর চেষ্টা করছি, কিন্তু প্রতিটি স্থানে বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের গাজা উপত্যকাকে মানবিক সাহায্যে ভরে তোলা দরকার। আমরা শিশুদের কাছে খাবার পৌঁছাতে সব ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।”
বিবিসির সাংবাদিক আনা ফস্টার যখন শিশু মৃত্যুর সংখ্যা কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে জানতে চান, তখন ফ্লেচার জানান, “আমাদের শক্তিশালী দল মাঠে কাজ করছে। তাদের অনেকে মারা গেছেন, তবু এখনো অনেকে চিকিৎসাকেন্দ্রে, স্কুলে এবং অন্যান্য স্থানে চাহিদা মূল্যায়ন করছেন।”
এদিকে গাজার পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে। চিকিৎসকদের বরাতে জানা গেছে, একাধিক ইসরায়েলি বিমান হামলায় মাত্র আধাঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৩৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
এই হামলাগুলো এমন এক সময় ঘটেছে যখন যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইসরায়েলকে গাজায় ‘নতুন সামরিক আক্রমণ’ বন্ধ করতে এবং মানবিক সাহায্যের প্রবাহ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, “যুদ্ধ আগামীকালই শেষ হতে পারে—যদি হামাস জিম্মিদের মুক্তি দেয় এবং অস্ত্র জমা দেয়।” বর্তমানে গাজায় ৫৮ জন জিম্মির মধ্যে ২৩ জন জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র: বিবিসি
 
                        তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
 
                        বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
 
                        ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
 
                        খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই