সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার শ ম রেজাউল করিমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম তাপস। এক দীর্ঘ ফেসবুক স্ট্যাটাসে তাপস সাবেক এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন, পাশাপাশি তার সঙ্গে নিজের সম্পর্ক এবং ৫ আগস্টের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন।
তাপস জানান, তিনি রেজাউল করিমের দীর্ঘদিনের অনুসারী ছিলেন। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময়কার ঘটনা, দেশত্যাগ ও পরবর্তীতে রেজাউল করিমের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করার পর তিনি আর চুপ থাকেননি। ফেসবুকে নিজের বক্তব্য দিয়ে তিনি দাবি করেন, রেজাউল করিম নিজেই তাকে ফোন করে সীমান্ত পর্যন্ত সঙ্গ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পালানোর আগে এক লাখ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করেন, যা তিনি ফিরিয়ে দেন। এরপর রেজাউল করিম ক্ষুব্ধ হয়ে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।
তাপস বলেন, তিনি একা ছিলেন এবং কোনো অপহরণকারী দল ছিল না। বরং রেজাউল করিমের আত্মীয়স্বজনেরা তাকে ঘিরে ধরেছিলেন। তিনি পালানোর বিরোধিতা করে একটা দিকনির্দেশনা বা মিটিং করার দাবি জানালে রেজাউল করিম উত্তপ্ত ভাষায় কথা বলেন এবং তাকে অপমান করেন। লিফটে এক পর্যায়ে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরে নিচে আত্মীয়স্বজনদের কাছে তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়।
তাপস আরও অভিযোগ করেন, রেজাউল করিম একদিকে ইসলামের দোহাই দেন, অন্যদিকে তার ব্যক্তিজীবনে তা মানেন না। তার মেয়ে লন্ডনের এক খ্রিস্টান নাগরিককে বিয়ে করেছেন, যেটিকে তিনি দ্বিচারিতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রেজাউল করিম নিজের ব্যর্থতা ঢাকতেই এখন তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। একইসাথে তিনি দাবি করেন, সাবেক এই মন্ত্রী জামায়াত-বিএনপির সঙ্গে আঁতাত করে এলাকার রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করেছেন এবং আওয়ামী লীগের প্রকৃত কর্মীদের কোণঠাসা করেছেন।
রেজাউল করিমের বক্তব্যকে তিনি অসংলগ্ন, মিথ্যাচারপূর্ণ ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দেন। তাপস এই পোস্টে নিজেকে দলের প্রতি নিবেদিত একজন কর্মী হিসেবে তুলে ধরেন এবং বলেন, রেজাউল করিম যে ভিডিও ফুটেজের কথা বলেছেন, তা প্রকাশ করলে সত্য বেরিয়ে আসবে।
এই ঘটনার সূত্রপাত হয় রেজাউল করিমের একটি সাক্ষাৎকার থেকে, যেখানে তিনি দাবি করেন যে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তরিকুল ইসলাম তাপস তাকে অপহরণ করতে এসেছিলেন এবং বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে মিলে তার ক্ষতি করতে চেয়েছিলেন। সেই বক্তব্যকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন তাপস।
সার্বিকভাবে, এটি আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিভাজন, সদ্য সাবেক নেতাদের পালানোর ঘটনা এবং স্থানীয় রাজনীতির জটিল সমীকরণকে সামনে এনে দিয়েছে। তাপসের বক্তব্যে রেজাউল করিমের চারিত্রিক ও রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যা দলীয় রাজনীতিতে নতুন উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
শহীদ আলিফ আহম্মেদ সিয়াম-এর কবর জিয়ারত করলেন বাগেরহাটের জামায়াতের নেতৃবৃন্দ
গণঅভ্যুত্থান স্মরণে বাগেরহাটে শহীদ পরিবারে সাক্ষাৎ ও কবর জিয়ারত কর্মসূচি
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেডের ব্যবহার
আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তোলার মধ্যেই নিহিত এতিম লালন-পালনের স্বার্থকতা - ধর্ম উপদেষ্টা