প্রখ্যাত বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ এবং তথ্যপ্রযুক্তি গবেষক অধ্যাপক ড. এম. লুৎফর রহমানকে অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কোঅপারেশন (ওআইসি) এর বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির (কমসটেক) দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সম্মানসূচক উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে।
অধ্যাপক লুৎফর রহমান, বর্তমানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এবং বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের খন্ডকালীন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ছিলেন এবং ডিজিটাল সিস্টেম, মাইক্রোপ্রসেসর অ্যাপ্লিকেশন, ডেটা যোগাযোগ, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য সুরক্ষা এবং ক্রিপ্টোগ্রাফির ক্ষেত্রে ব্যাপক গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত।
ওআইসির একটি বিশেষায়িত কমিটি, কমস্টেক, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উচ্চশিক্ষা এবং স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলির মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার দায়িত্বপ্রাপ্ত। এর লক্ষ্য কৌশলগত কর্মসূচি, প্রশিক্ষণ উদ্যোগ এবং বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে চালিত করে এমন ওআইসি রেজোলিউশন বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। কমসটেক-এ তার নিয়োগ বৈজ্ঞানিক উন্নয়নের অগ্রগতি এবং ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে, বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রতি তার অটল প্রতিশ্রæতিরই প্রমাণ।
অধ্যাপক রহমান পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) পরমাণু শক্তি কমিশনে একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন এবং পরে লিবিয়ার উচ্চতর ইলেকট্রনিক্স ইনস্টিটিউটে প্রভাষক হিসেবে কাজ করেন। তিনি ১৯৮৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত পদার্থবিদ্যা, ইলেকট্রনিক্স এবং যোগাযোগ প্রকৌশল বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯২ সালে, তিনি নবপ্রতিষ্ঠিত কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের (বর্তমানে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হন এবং ১৯৯৪ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। তিনি ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের (বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট) পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক রহমান ২০০ টিরও বেশি গবেষণাপত্র এবং অসংখ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত প্রবন্ধ লিখেছেন। তিনি ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে আঠারোটি বই লিখেছেন এবং সম্পাদনা করেছেন - যার মধ্যে অনেকগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যপুস্তক হিসাবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। তাঁর নেতৃত্ব, একাডেমিক উৎকর্ষতা এবং গবেষণা সাফল্য মুসলিম বিশ্বের বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিতে অনুপ্রেরণা এবং অবদান রেখে চলেছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তির রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ
বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাল যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ বৈঠক
ইরানের প্রেসিডেন্টের দাবি, ইসরায়েল তাকে ‘হত্যার’ চেষ্টা করেছে
খাদ্যের জন্য মৃত্যুকে উপেক্ষা করে গাজায় ক্ষুধার্ত নারী-পুরুষ-শিশুর লড়াই